ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ হবে না!

৩:৮৫
কেহ ইসলাম ব্যতীত [আল্লাহ্‌র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পণকারী] অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে, তা কখনও গ্রহণ করা হবে না। পরলোকে সে হবে [আধ্যাত্মিকভাবে] ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত

কেন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন কখনও গ্রহণ করা হবে না?

জবাব:

এই ভুল দাবীর মূলে ইসলাম শব্দের ভুল ব্যাখ্যা। যদিও কোরানের একাধিক আয়াতে সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে , ইসলাম নবী ইব্রাহিমের ধর্ম এবং উনিই ছিলেন প্রথম মুসলমান (দেখুন ২:১২৮ , ২:১৩১ , ২:১৩৩) , তদাপি আজকের মুসলমানদের দাবী তারাই একমাত্র ইসলামের ধারক ও বাহক এবং একমাত্র কোরানের অনুসারীরাই মুসলমান।

এটা যে একটা ভুল প্রচার তার প্রমান পাওয়া যায় ৩:৬৭ আয়াতে , যেখানে আল্লাহ বলছেন , “ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ (حَنِيفًا مُّسْلِمًا ) অর্থাৎ, সব মিথ্যা ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং আত্নসমর্পণকারী, এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না।”

আল্লাহ ৫:১১১ আয়াতে বলছেন যে , যীশু ও তার অনুসারীরা মুসলিম ছিলেন। ২৭:৪৪ আয়াত দেখুন , যেখানে বলা হয়েছে সোলায়মান ও বিলকিস (রানী শেবা) ও আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করেছেন অর্থাৎ মুসলিম এবং ৫:৪৪ আয়াতে বলা হয়েছে তওরাতের অনুসারি সকল নবী ও তাদের অনুসারীরা মুসলিম।

এই সকল আয়াত পড়ে একটাই উপসংহারে আসা যায় , তা হলো তওরাত ও ইন্জিলের অনুসারীরাও মুসলিম , যাদের কোরান সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। এই মুসলমানরা দোজাহানের মালিক আল্লাহর নিকটেই আত্মসমর্পন করেছেন। ইব্রাহিম যে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা তা কোরানে পাওয়া যায়। কোরান থেকে আমরা এই শিক্ষাই পাই যে , সত্যিকারের মুসলমান সেই , যে এক আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পন করে এবং এক আল্লাহর আইন মেনে চলে এবং তারা শুধু কোরান অনুসারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

এখনকার খৃষ্টানদের মধ্যে যারা ‘God’ এর একত্বে বিশ্বাস করে ও যীশুর পূজা করে না , তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মুসলমান। ২:৬২ ও ৫:৬৯ আয়াত অনুযায়ী যেকোন ধর্মালম্বি যদি এক সৃষ্টিকর্তায় (আল্লাহ , ইয়াহয়ে , ‘God’ যে নামেই ডাকুন না কেনো) বিশ্বাস করে , আখেরাতে বিশ্বাস করে ও আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে , সে আল্লাহর দৃষ্টিতে মুসলমান। এবং এরা সকলেই তাদের ভালো কাজ অনুযায়ী পুরষ্কৃত হবে। এরা হলো কোরানিক মুসলিম বা ইহুদি মুসলিম বা খৃষ্টান মুসলিম বা হিন্দু মুসলিম …….।