মুহাম্মদ কর্তৃক নিরপরাধী ইহুদীকে হত্যা!
মুহাম্মদ বানু কুরাইজা নামক এক ইহুদী উপজাতির ৬০০-৯০০ জন নিরপরাধী ইহুদীকে হত্যা করেছিলেন।
জবাব:
প্রথমত, এমন কিছু কোরআনে লিখা নেই। এমনকি হাদিসেও নেই।
ইবনে ইসহাকের লিখা বায়োগ্র্যাফিতে নাকি এরকম একটি ঘটনার উল্লেখ আছে।
দ্বিতীয়ত, ইহুদীরা নিজেরাই যেখানে বিষয়টি নিয়ে কান্নাকাটি করে না, কান্নাকাটি না করার পেছনে কারণও আছে, সেখানে আপনাদের এত মায়াকান্না কেন মিয়া ভাই! আপনারা কি ইহুদী ওয়ার্শিপার!
তৃতীয়ত, ইহুদীরা যে কেমন ‘নিরপরাধী’ তার চাক্ষুস প্রমাণ তো চৌদ্দশ’ বছর পরও দেখা যাচ্ছে। আপনারা কি বোবা-কালা-অন্ধ? তাছাড়া ‘মোসাদ’ ও ‘জায়নিজম’ এর নাম শুনেছেন? তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য?
চতুর্থত, যে সোর্স থেকে এই অভিযোগ উত্থাপন করা হয় সেই সোর্স অনুযায়ীই যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তারা আসলে যুদ্ধাপরাধী ছিল, নিরপরাধী তো নয় বটেই! ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদেরকে হত্যা করা হতো। ফলে এই ঘটনা যদি সত্যও হয় সেক্ষেত্রে বাইবেলের নিয়ম অনুযায়ীই তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। দেখুন:
“When thou comest nigh unto a city to fight against it, then proclaim peace unto it. And it shall be, if it make thee answer of peace, and open unto thee, then it shall be, that all the people that is found therein shall be tributaries unto thee, and they shall serve thee. And if it will make no peace with thee, but will make war against thee, then thou shalt besiege it: And when the LORD thy God hath delivered it into thine hands, thou shalt smite every male thereof with the edge of the sword: But the women, and the little ones, and the cattle, and all that is in the city, even all the spoil thereof, shalt thou take unto thyself; and thou shalt eat the spoil of thine enemies, which the LORD thy God hath given thee.”
(Deuteronomy 20:10-14)
http://muslim-responses.com/Banu_Qurayza/Banu_Qurayza_
পঞ্চমত, কিছু মুসলিম স্কলার জোরালো যুক্তি-প্রমাণের সাহায্যে দেখিয়েছেন যে, এরকম একটি ঘটনা প্রফেট মুহাম্মদের জন্মের আগে বা সমসাময়িক সময়ে অন্য কোথাও ঘটে থাকতে পারে। ইবনে ইসহাক হয়তো ভুলক্রমে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রফেট মুহাম্মদকে সেই ঘটনার সাথে জড়িয়েছেন। কারণ এরকম একটি ঘটনা কোরআন অথবা নিদেনপক্ষে সহী হাদিসে না থাকাটা অস্বাভাবিক।
ষষ্ঠত, প্রফেট মুহাম্মদের দীর্ঘ তেইশ বছরে সবগুলো যুদ্ধে উভয় পক্ষে হতাহতের সংখ্যা মাত্র এক হাজারের কিছু উপরে। অন্যদিকে বাইবেলের এক যুদ্ধেই হতাহতের সংখ্যা বারো হাজার (জশুয়া ৮:২৫)।
সম্পূর্ণ বাইবেলে হতাহতের সংখ্যা যে কত তার কোন হিসাব নাই। শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনা পরিচালিত এক কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেই হতাহতের সংখ্যা লক্ষাধিক বা এমনকি মিলিয়ন মিলিয়ন (উইকিপেডিয়া)। গীতাতেও তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আছে:
Krishna said: “I am death, the mighty destroyer of the world. I have come here to destroy all these people. I have already destroyed all these warriors. Kill all these great warriors who are already killed by Me. Do not fear. You will certainly conquer the enemies in the battle; therefore, fight!” (Gita 11:32-34)
অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে এরকম আরো অসংখ্য প্রমাণ আছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা মিলিয়ন মিলিয়ন। এক হিটলারই নাকি ছয় মিলিয়ন নিরপরাধী ইহুদীকে হত্যা করেছে। তাদের জন্য আপনাদের মন কাঁদে না কেন মিয়া ভাই!
এক স্ট্যালিন মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে।
এছাড়াও সম্রাট অশোকা, মাও-সে-তুং, পল পট, চেঙ্গিস খাঁ, হালাকু খাঁ, মুসলিনি, বুশ, এলকে আদভানী, নরেন্দ্র মোদী, ও এরকম কয়েকজন মিলে নিরপরাধী নারী-শিশু সহ বিলিয়নেরও বেশী মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য!
ফলে যারা তিন নাম্বারী সোর্স থেকে চৌদ্দশ’ বছর আগের ৬০০-৯০০ জন যুদ্ধাপরাধী ইহুদীর জন্য মায়াকান্না করে বুকের জলে চোখ ভাসায় তাদের জন্য লজ্জিত হওয়ার কিছু নাই।