একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষী

কোরআনে (আয়াত ২:২৮২) যেহেতু একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে সেহেতু নারীর বুদ্ধিমত্তাকে পুরুষের চেয়ে কম মনে করা হয়েছে!

জবাব:

প্রথমত, কোরআনের কোথাও বলা হয়নি যে পুরুষদের চেয়ে নারীদের বুদ্ধি কম।

দ্বিতীয়ত, যে আয়াত থেকে এই অভিযোগ উত্থাপন করা হয় সেটি হল আয়াত (২:২৮২)।
অথচ পুরো আয়াত না পড়ে সামান্য একটি অংশ বার বার উদ্ধৃত করে তোতা পাখির মতো বুলি আউড়ানো হয়। আয়াতটি পুরোটা পড়লে কারো মনেই এই ধরণের অস্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনার উদয় হওয়ার কথা নয়। কোরআনে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ও একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে, আর সেটি হচ্ছে ঋণ লেন-দেন। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে, পুরুষের বুদ্ধিমত্তা নারীর বুদ্ধিমত্তার দ্বিগুণ! না, মোটেও তা নয়। অতিরিক্ত একজন নারীকে পাশে থাকতে বলা হয়েছে এ কারণে যে, আসল সাক্ষী কোন কারণে ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেবে।

একমাত্র ঋণ লেন-দেন ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সাক্ষী সমান। তাছাড়া নারীদের কিছু সমস্যা যেমন গর্ভাবস্থা, রজঃস্রাব, ইত্যাদিও তো মাথায় রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় ও রজঃস্রাব কালে নারীদের যে কিছু কিছু সমস্যা হয় সেটা তো প্রমাণিত সত্য, যে সমস্যাগুলো পুরুষদের নেই।