হিল্লা বিয়ে

কোরআনে অমানবিক হিল্লা বিয়ের কথা লিখা আছে!

জবাব:

প্রথমত, কোরআনে ‘হিল্লা বিয়ে’ নামে কোন বিয়ের কথা লিখা নেই।

দ্বিতীয়ত, ইসলামে তালাকপ্রাপ্তা নারী ইচ্ছে করলে তার পছন্দ অনুযায়ী অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে (২:২২৯-২৩২)।

তৃতীয়ত, ইসলাম নিয়ে যারা স্টাডি করেছেন তারা খুব ভাল করেই জানেন যে, স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয় (২:২২৬-২৩০)।
অন্ধ ও গোঁড়া সমালোচকদের মনগড়া অপপ্রচারকে ইসলাম সমর্থন করে না। প্রকৃতপক্ষে ইসলামে তালাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন সমস্যা হলে পুনর্মিলনের জন্যও কিছু দিক-নির্দেশনা ও বিভিন্নভাবে তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:৩৪-৩৫, সূরা তালাক)।
এ বিষয়ে পুরুষের উপর কিছুটা বেশী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই ধাপগুলো অনুসরণ করার পরও তিন তালাক হয়ে গেলে সেই নারী-পুরুষ একে-অপরের জন্য অবৈধ হয়ে যায় (২:২৩০)।
পাশাপাশি সেই পুরুষকে লম্পট অথবা সেরকম কিছু একটা ধরে নেয়া হয়। অথবা ধরে নেয়া হয় যে, তাদের দু’জনার মধ্যেই বা কোন একজনের মধ্যে এমন কোন সমস্যা আছে যার জন্য তাদের মধ্যে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন না করাটাই উত্তম। এর পরও তিন তালাকপ্রাপ্তা কোন নারী যদি অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করে সেই পুরুষের সাথেই আবার ঘর করতে চায় সেক্ষেত্রে সেই নারীকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। কারণ ইসলামে তাকে অন্য কাউকে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। বিয়ে কোন পুতুল খেলা নয় যে, ইচ্ছেমতো তালাক দেয়া যাবে আবার ইচ্ছেমতো গ্রহণ করা যাবে। দু’দিন পর হয়তো আবারো তালাক দেয়া হবে!

চতুর্থত, কোরআনে সেই সাময়িক বিয়ের পর স্বামীর সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের কথা লিখা নেই। এটি শাস্তি হিসেবে একটি প্রতীকি বিয়েও হতে পারে যাতে করে অন্য কেউ যেন এই ধরণের কাজ না করে। এখানে স্মরণ রাখতে হবে যে, কোন নিরীহ নারীকে কিন্তু জোর করে কারো সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়া হচ্ছে না। ফলে বল কিন্তু তিন তালাকপ্রাপ্তা নারীদের কোর্টেই থাকছে। তারা ইচ্ছে করলেই অন্য কাউকে বিয়ে করে কোরআনের এই শাস্তি এড়াতে পারেন। তবে এখানে অমানবিকতার কোন প্রশ্নই ওঠে না। বিয়ে আবার অমানবিক হয় কীভাবে! বড়জোর অবমাননাকর হতে পারে।